দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দেবাশীষ সরকার ও তার ভাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আশীষ সরকার তারা দু জনই ক্ষীন দৃষ্টির কারনে খুব কষ্ট করে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়াশুনা করার পর আর পড়াশুনা সম্ভব হয়নি। তার সামান্য বেতনে হোমওিপ্যাথি ডাক্তারের কমপাউন্ডার হিসেবে ছোট চাকুরি করে কোন রকম দিন অতিবাহিত করছিলেন। এমন সময় সমাজসেবা অধিদফতরের, শহর সমাজসেবা কার্যালয়, কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সাহায্যে ব্যক্তদিরে পূর্নবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন খাত থেকে ঋন প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন এবং ২০০৫ সালে ৫০০০/= (পাঁচ হাজার) ঋণ নিয়ে উক্ত টাকা দিয়ে ছোট্ট একটি মুদির দোকান শুরু করেন। লভ্যাংশ দ্বারা কিস্তি পরিষোধ করেন। ২য় বার ২০০৭ সালে পুনরায় ১০০০০/= (দশ হাজার) টাকা ঋন উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করেন এবং লভ্যাংশ দ্বারা ঋনের টাকা পরিষোধ করেন। ৩য় বার ২০১২ সালে ১৫০০০/= (পনের হাজার) ঋন নিয়ে ব্যবসাকে আরো প্রসার করেন এবং লভ্যাংশ দ্বারা নিয়মমত ঋনের টাকা পরিষোধ করেন। বর্তমানে আরো ব্যাবসায়কি উন্নতি ও প্রসারের জন্য ২০০০০/= (কুড়ি হাজার) ঋনের আবেদন করেছেন। উত্তোর উত্তোর তাদের ব্যাবসা উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। বর্তমানে তাদের দোকানে প্রায় ৮০০০০/= (আশি হাজার) মালামাল রয়েছে। প্রতি মাসে দোকান থেকে তাদের প্রায় ৫০০০/= (পাচ হাজার) থেকে ৭০০০/= (সাত হাজার) মুনাফা হয়। শহর সমাজসেবা অফিস কুষ্টিয়া থেকে ঋন প্রদান না করলে তাদের মত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর পক্ষে এই ব্যাবসা পরিচালনা করা সম্ভব হতোনা বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন। সমাজসেবার সহযোগিতা পেয়ে তারা অত্যন্ত খুশি। তাদের দুই ভায়ের মত সমাজের অন্যান্য প্রতিবন্ধীরা সমাজসেবা থেকে ঋন গ্রহন করে যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে সেই মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত সৃষ্টিকর্তার নিকট আর্শিবাদ করেছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস