আমাদের অর্জনসমূহ: মোছাঃ খোদেজা খাতুন, স্বামী মোঃ জিয়ারত আলী, উপজেলা সমাজসেবা অফিস মিরপুর, কুষ্টিয়ার সাফল্যগাঁথা গ্রামঃ গোপালপুর, উপজেলাঃ মিরপুর, জেলাঃ কুষ্টিয়া। তিনি ১৯৮১ সালে সমাজসেবার সদস্য হয়ে ৫০০ টাকা ঋণ এবং অনুদান হিসেবে একটি সেলাই মেশিন পায়। সে সময় তার ঠিক একটি কলার পাতার বেড়া এবং খড়ের চালার ঘর ছিলো। বর্তমানে সে খোদেজা ভিলা নামে ইটের বাড়ি করেছেন। খোদেজা খাতুনের ইটের বাড়ি এবং পাকা ল্যাট্টনি ব্যবহার করছেন। সমাজসেবার ঋণ নিয়ে খোদেজা খাতুন সব্জি খেত, হাঁস-মুরগি পালন এবং গরু-ছাগল পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন। খোদেজা খাতুন নিজ মুখেই আমরা তার সাফল্য গাঁথা কথা শুনান।
আমার নাম প্রনব কুমার পাল ও আমার ভাইয়ের নাম পার্থ কুমার পাল। আমরা দুই ভাই শাররিীক সমস্যার কারনে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করি এবং খুব কষ্ট করে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বাবা প্রশান্ত কুমার পাল একটি বেসরকারি স্কুলে সামন্য বেতনের চাকুরি করেন। তার সামন্য আয়ে আমাদের সংসার খুব কষ্টে চলছিল। এমন সময় সমাজসেবা অধিদফতরের, শহর সমাজসেবা কার্যালয়, কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি। এমতবস্থায় শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের এসিডদগ্ধ ও শারিরীক প্রতিবন্ধী ব্যক্তদিরে পূণর্বাসন কার্যক্রম খাত থেকে ঋণের জন্য আবেদন করি এবং ২০০৫ সালে ১০০০০/= (দশ হাজার) টাকা ঋণ পায়। উক্ত টাকা দিয়ে ছোট্ট একটি ঔষধের দোকান শুরু করি এবং লভ্যাংশ দ্বারা কিস্তি হিসাবে ঋণ পরিশোধ করি। ২ য় বার পুনরায় ২০০৮ সালে ১০০০০/= (দশ হাজার) টাকা ঋণ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করি এবং লভ্যাংশ দ্বার ঋণের টাকা পরিশোধ করি। ৩ য় বার ১৫০০০/= (পনের হাজার) টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসার প্রসার আরো বৃদ্ধি করি এবং লভ্যাংশ দ্বারা কিস্তি মোতাবেক ঋণের টাকা পরিশোধ করি। ব্যবসায়কি উন্নতি ও প্রসারের জন্য ২০০০০/= (কুড়ি হাজার) টাকা ঋনের আবেদন করেছি। আমার ব্যবসা উত্তরাত্তর উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। বর্তমানে আমার দোকানে প্রায় ৮০০০০/= (আশি হাজার) টাকার মালামাল রয়েছে। প্রতি মাসে দোকান থেকে আমার প্রায় ৭০০০/= থেকে ৮০০০/= মুনাফা হয়। যার কিছু অংশ দিয়ে দরিদ্র বাবার সংসার চালানোর কজে সহযোগিতা করি এবং কিছু অংশ দিয়ে ব্যবসার পরিধী বৃদ্ধি করি। সমাজসেবা অফিস থেকে ঋণ প্রদান না করলে আমাদের মত সেলিব্রালপালসি এবং শারিরীক প্রতিবন্ধী ভাইদের পক্ষে এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হতো না। আমি সমাজসেবা কতৃক পরিচালিত ৬ মাসের ফ্রি কম্পিউটার ও ৩ মাসের ফ্রি মাল্টিমিডিয়া কোর্স সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে আমি শহর সমজসেবা অফিস, কুষ্টিয়া থেকে শিক্ষা উপবৃত্তি নিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছি। সমাজসেবার সহযোগিতা পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। আমি আর্শিবাদ করি যেন আমাদের দুই ভায়ের মত সমাজের আরো প্রতিবন্ধীরা সমাজসেবা থেকে আর্থিক সহযোগিতা গ্রহন করে স্বাবলম্বী হতে পারে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস